Adenium obesum লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Adenium obesum লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫

Adenium

অ্যাডেনিয়ামে নতুন চমক

একঘেয়েমি বর্ষা আর ভয়াবহ তাপের দাবড়ানি নস্যাৎ করে দিয়ে অপরূপ শরীরী বিভঙ্গ আর রঙিন কামনার রঙে ঢালা ফুল সম্ভার মেলে ধরেছে কিন্নরী। কিন্নরী নাম শুনে যাঁরা মনের নাম ভান্ডারে পাতা উল্টে দেখতে ছুটলেন, তাঁদের আশ্বস্ত করে জানাই, ওটা অ্যাডেনিয়াম ওবেসামের সুরেলা বাংলা তর্জমা। গণেশের ছবি বা মূর্তি যাঁরা ভালোবাসেন তাঁরা এই গাছে তাঁরই প্রাণময় প্রতিকৃতির আবেশ পাবেন। সঙ্গে অফুরন্ত ফুলের আশ্বাস। কিন্তু সেই ফুল যদি হয় একেবারে নতুন রঙের যা আগে কেউ দেখেনি? যদি তার পাতা হয় অন্য ধারার যার সন্ধান আগে কোনও উদ্যানবিদ পাননি? আর সেই রঙের আর আকৃতি যদি অনেক রকমফের আপনার মতো উদ্যান নিবেদিত প্রাণ মানুষের সমােন থরে থরে মেলে দেওয়া হয়?




এতদিন তো আমারা গোলাপি, ঘন গোলাপি, লাল প্রভৃতি গোটা তিনেক রঙেই আটকে গিয়ে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে ফুল আর পাতা দেখে এদের অ্যাডেনিয়াম বলে বিশ্বাস না করতে চাইলেও উপায় নেই। 
নিশ্চয়ই আপনাদের মনে মনে প্রশ্ন জাগছে ভ্যারাইটিগুলো কেমন, যত্নআত্তি কী করতে হবে ইত্যাদি। 


ভ্যারাইটি : চকচকে লাল, ভীষন নজারকাড়া লাল। এর ফুল অনেক বড়, পাতা চওড়া আর সবুজ। গোলাপি স্ট্রাইপ ফুল। অজস্র ফুল হয়। পাতা সরু মাঝখানে শিরটা সাদা। সাদা ফুল, পাপড়ির প্রান্ত হালকা গোলাপি। খুব বেশি নজরকাড়া গোলাপি ঘেঁষা লাল ফুল। সরু পাতা, লাল ফুল। গোলাপির আর এক শেড সরু এবং পয়েন্টেড। এছাড়াও প্রায় দু'ধরনের ফুল অর্থাৎ মোট বারো ধরনের ফুল। সঙ্গে ভ্যারিগেটেড পাতার বাহার। সবকটারই গোড়া মোটা ও একইরকম। ১৮ ধরনের ভ্যারিগেটেড পাতার অনন্য বৈচিত্র।


ইফোরচিয়া মিলি : সারা বছর ধরে অজস্র ফুল দেবে কমলা, হলুদ, লাল-হলুদের মিশ্রন। টকটকে লাল এমন প্রায় ১৮টি ভ্যারাইটি। সব ক'টাতেই বড় বড় ফুল আর ফুলের থোকাও দু'হাত ভর্তি হয়ে যাবে। 
যত্নআত্তি : বীজ থেকে গাছ হয় অ্যাডেনিয়ামের। নতুন রঙ ফুলের কৃত্রিম পলিনেশন বা পরাগ সংযোগেই বাস্তবায়িত হয়েছে। তবী একসঙ্গে কয়েক হাজার গাছ না হলে করা আসম্ভব। অ্যাডেনিয়ামের সাধারণ যা যত্নআত্তি এতেও সেই একই ধারা। পাথুরে গাছ তার পেটমোটা অংশে জমিয়ে রাখে জল। ফলে গোড়ায় জল একেবারেই জমতে দেওয়া যাবে না। খুব বেশি জলও খাবে না।


টবে গাছটি লাগানোর পদ্ধতি :
মাটি তৈরি হবে এইরকমভাবে। সুরকি ৬০ শতাংশ, ২০ শতাংশ পাতা পচা সার, ২০ শতাংশ, ২০ শতাংশ মাটি, ৮ ইঞ্চি টবে এক মুঠো শিং কুচি ব্যস, খেল খতম। মিলি কাটিং থেকে হয়। তবে যেহেতু দুটোই সাকুলেন্ট তাই ফাঙ্গিসাইড নিয়তি লাগবে। মাঝে-মধ্যে হাড়ের গুঁড়ো জলে গুলে দিতে হবে গোড়ায় আর কোনও সার না দিলেই ভাল। ১০ দিন ছাড়া অবশ্যই ছত্রাক নাশক আর ১৫ দিন ছাড়া কীটনাশক চাই-ই।