রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

Cape periwinkle

এই ফুলটির বাংলায় নাম- নয়নতারা

অন্যান্য স্থানীয় নাম Cape periwinkle, Madagascar periwinkle, periwinkle, sadabahar, sadaphuli, sadasuhagi, sadsuhagan 


বৈজ্ঞানিক নাম Vinca rosea / পরিবার Apocynaceae (dogbane, or oleander family)






















কোথা থেকে এল নয়নতারা :
আদি নিবাস মাদাগাস্কার। বাংলাদেশ, ভারত ও আফ্রিকা সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এঁর দেখা পাওয়া যায়। এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বর্ষজীবী। কখনো কখনো অনেক বছর বেঁচে থাকতেও দেখা যায়। সারা বছরই ফুল ফোটে। সাধারনত ৭০-৮০ সেমি উচ্চতা। পাতা ৫-৭ সেমি লম্বা। 
এর ফুল সাধারনত সাদা, বেগুন, গোলাপী, লাল রঙের হয়।
বুনোজংলী এই গাছটি অনাদরে ও অবহেলায় বাঁচতে পারে। সারা বছরই এই গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায়। তবে পুরনো হয়ে গেলে ও যত্নে না রাখলে গাছটি শক্ত হয়ে যায়, ফুলও ধরে না।


ব্যাবহার :
ভেজষ গাছ হিসাবে নয়নতারা বিশেষ পরিচিতি আছে। এই গাছের নিস্কাষিত রস  ডায়াবেটিকস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ক্রিমি রোগে, মেধাহ্রাসে, লিউকেমিয়া, মধুমেহ, রক্ত প্রদরে, রক্তচাপ বৃদ্ধিত, সন্ধিবাত সহ নানা রোগে এঁর ব্যাবহার রয়েছে। বোলতা প্রভৃতির হুলের জ্বালায়/কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যাবহারের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।



টবে গাছটি লাগানোর পদ্ধতি :
এই গাছ চার থেকে আট বা দশ ইঞ্চি পটে করবেন। মাটি হবে ৬০ ভাগ, ২০ ভাগ পাতা পচা সার আর ২০ ভাগ বালি, এক চামচ সুপার ফসফেট, পারলে গোবর সার বা পাতা পচা সারের ভাগটা বাড়াবেন। ৫০-৫০ হলে তো ভাল হয়। হাল্কা খোল পচার জল দিন ১৫ দিনে একবার। ব্যস এতেই রঙের হোলি বাগান জিড়ে-গ্যারান্টি দিলাম।




শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

China Rose



এই ফুলের বাংলা নাম - জবা, ঝুমকা জবা, জবা কুসুম 

অনেকে একটাকে রক্তজবাও বলে থাকে 

অন্যান্য স্থানীয় নাম China Rose, Chinese hibiscus উল্লেখযোগ্য।


জবার আকর্ষন সবসময়ই। তা সে গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, বসন্ত বা শীত। তাই জবা নিয়ে আজ কিছু জব্বর কথা হোক।

কোথা থেকে এল জবা :
উৎপত্তি চিন দেশে। কবে এ দেশে মা কালীর প্রতীক ফুল হয়ে গেল বলা ভার। ল্যাটিন নাম হিবিসকাস রোজা চাইনেনসিস। কীভাবে এল তাও বলা বেশ মুশকিল। মরসুমি জবাও এ দেশে এসেছে বিদেশি নামী বীজ কোম্পানিগুলির হাত ধরে। 

কত জাত, কত রং :
দিশি জবা বলতে আলিপুর বিউটি বা পঞ্চমুখি লাল জবাকে আমরা পুজোর ফুল হিসাবে কাজে লাগাই। কিন্তু লাল, হলুদ, কালো, সাদা, গোলাপি- শুধু নানা রং-ই নয়, এগুলি বাইকালার অর্থাৎ একই ফুলে দুই বা ততোধিক রঙের জবা পাওয়া যাচ্ছে। কিছু নাম দিই (১) বিশ্বেশ্বরী-গেরুয়া, (২) ব্লু বার্ড-অ্যাশ, (৩) বিবেক-গেরুয়া, (৪) রেডড্রাগন-লাল, (৫) জার্মান চ্যাটার্জি-লাল হলুদ, (৬) বিবেকানন্দ- হালকা কমলা।


আজব জবার তালিকা : (১) বড় থালার মতো জবা-সামার সাম্বা, (২) কালো জবা-ব্ল্যাক ক্যাট/ব্ল্যাক্ক্যাট, (৩) বিশাল মরসুমি জবা- সাদার্ন বেলি, ডিস্কোবেলি, (৪) গন্ধওয়ালা জবা (এক মাত্র)-হাওয়াই হোয়াই, (৫) নীল জবা-পুরো ফোটে না, আধো ফুটে ঝরে যায়, (৬) মিনিয়েচার জবা-ছোটো ছোটো নয়নতারার মতো ফুল। দেখতে গাছটাও সুন্দর






কোথায় হবে, কীভাবে ফুটবে :
শর্ত (১) চাই রোদ, (২) খোলামেলা বাতাস, (৩) মাটিতে অথবা টবে। হাইব্রিড জবা ফুটবে এক ফুট উচ্চতাতেই। কলমের কি না জেনে দেখে নিতে হবে। ডগা কলম হলেই ভাল হয়। কুঁড়ি সমেত গাছ কিনুন, পারলে ফোটা ফুল সমেত। গোড়াটা দেখে নিন যদি ফুল গুলের গাছ হয়- গুল যেন ভাঙা না হয়। পটে যদি কেনেন তবে ছোটো পট থেকে বড় পটে দেবেন কিছু দিনের মধ্যেই। ১৫ দিন ছাড়া একদিন ১০ ফোঁটা মেটাসিড বা রোগর দিয়ে ১ লিটার জলে স্প্রে করে দিন গাছগুলিতে।


পটে জবা হওয়ার কায়দা :
পটে জবা খুব সোজা। মাটি হবে ৬০ ভাগ, ২০ ভাগ বালি, ২০ ভাগ পাতাপচা অথবা গোবর সার, দু'চামচ সুপার ফসফেট, এক মুঠো হাড় গুঁড়ো। মাটি তৈরি করে এক বা দু'মাস আগে থেকে ফেলে রাখতে পারলে ভাল। গাছ বসাবেন এক ফুট থেকে দু'ফুট হলে আট ইঞ্চি পটে এর বেশি হলে ১০-১২ বা আরও বড় পটে। প্রতি সপ্তাহে খোল পচার জল অথবা গুঁড়ো খোল এক চামচ ছড়িয়ে দিন। অসুবিধা হলে নিমশিল্ড অথবা সুধাসুষম বা ফিউশন।


পটে জবার সমস্যা :
(১) অ্যাফিড : সাদা ছোট ছোট পোকা একদম জেবড়ে লেগে থাকবে কচি ডগায়। ধরলে গাছ খতম।
(২) স্টেম বোরার : ডালের ভিতর গর্ত করে পোকা এগোতে থাকে। দামি জবার গলায় এই ফাঁস মারাত্মক।
(৩) গোড়া পচা : জল জমে গোড়া পচে যাওয়া ছত্রাকঘটিত রোগ।
(৪) মাকড়সা ধরনের কীট সমেত হাজারো সমস্যা।


রোগ-ভোগ নিবৃত্তির উপায় :
(১) প্রথম রোগে মেটাসিড বা রোগর ১০ ফোঁটা এক লিটার জলে দিয়ে ১৫ দিন ছাড়া স্প্রে করতে হবে।
(২) দ্বিতীয় রোগে মাটিতে ফুরাডন (Furadon) ফিয়ে (দু'চামচ) গাছ বসাতে হবে, রোগ ধরে গেলে উপায় নেই।
(৩) ব্যাভিস্টিন বা অনুস্টিন এক গ্রাম এক লিটার জলে গুলে গোড়ায় দিতে হবে ১৫ দিন ছাড়া।
(৪) ক্যালথিন বা অন্য মাকড়নাশী কীটনাশক দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৫

Banana Bush

ফুলের নাম - কাঠ মালতি বা টগর 

কাঠ মালতী নাম হলেও এটি টগরগোত্রের ফুল


গ্রীষ্মে বেশি ফুটলেও সারা বছর পাবেন টগরের স্নিগ্ধতা। ভ্যারিনেটা টগর দেখতে ভারি সুন্দর। এই টগর ছাঁটলে বেশ ঝাড়াল হয়। সাধারণ টগর বা কাঠ মালতি গাছে প্রচুর ফুল হয়।
















টবে গাছটি লাগানোর পদ্ধতি : গাছের মাপ যদি হয় দেড় দু'ফুটের মধ্যে তা হলে ৮ ইঞ্চি টব নিন আর যদি গাছ এর থেকে মাপে বড় হয় তা হলে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি টব নিলে হবে। এতে ৫০ শতাংশ মাটি, ২০ শতাংশ বালি, ৩০ শতাংশ পাতা পচা সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিন। এ্রর সঙ্গে ২ চামচ সুপার ফসফেট ও একমুঠো হাড়ের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার টবে গাছ বসিয়ে টব শুদ্ধ গাছ সম্পূর্ণ সূর্যের আলোয় বা আধ ছায়াতে রেখে দিন। গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রে ১৫ দিন অন্তর নিমশিল্ড অথবা সুধাসুষম এই দুটোর যে কোনো একটি ২ চামচ করে দিতে হবে। যদি পোকা লাগে তা হলে মেটাসিড স্প্রে করতে হবে। ১ লিটার জলে ১০ ফোটা মেটাসিড দিয়ে ওই জল স্প্রে করতে হবে।
এই একই পদ্ধতি ও উপাদান দিয়ে টবের মধ্যে চাঁপা, করবী ফুলও ফোটাতে পারবেন।

বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

গরমের মরসুমি ফুলের আবাহন।

Flower

































অনেকেই ভাবেন মরসুমি ফুল মানেই শীতের রঙের জোয়ার। এই ধারণা ধূলিসাৎ হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। সুতরাং আজি লেগে পড়ুন ।